Need help? Call Us: +88096 13 100 600
চুইঝাল কি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য চুইঝাল একটি জনপ্রিয় মসলার নাম। এই বিশেষ ধরণের মসলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। চুইঝাল মূলত পিপার পরিবারের একটি গাছ থেকে সংগৃহীত হয় এবং এর ঝাল স্বাদই মূলত খাবারকে একটি ভিন্ন মাত্রা দেয়। বিশেষ করে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট অঞ্চলে চুইঝাল বেশ জনপ্রিয়। চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা, ব্যবহার নিয়ে এই ব্লগটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
চুইঝালের কত প্রকার ও চাষ পদ্ধতি
চুই সাধারণত দুই রকমের হয়। একটির কাণ্ড বেশ মোটা ২০-২৫ সেন্টিমিটার, অন্যটির কাণ্ড চিকন। এটি আকারে ২.৫ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছ ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত ও ছায়াময় উঁচু জমিতে সাধারণত চুই চাষ করা হয়।
নার্সারিতে পলিব্যাগে কাটিং থেকে উৎপন্ন দু’মাস বয়সের চুইঝালের চারা বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) এবং আশ্বিন-কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে রোপণ করা হয়। অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে চুইঝাল বেড়ে ওঠে। এ কারণে আম, জাম, নারিকেল, সুপারি, মেহগনি, গাছ বাউনি হিসেবে এটি চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
তাই এ জাতীয় গাছের গোড়া থেকে ২৫-৩০ সেন্টিমিটার দূরে ৪৫ সেন্টিমিটার লম্বা, ৪৫ সেন্টিমিটার চওড়া ও ৪৫ সেন্টিমিটার গভীর করে গর্ত তৈরি করতে হয়। প্রতিটি গর্তের ওপরের স্তরের মাটির সঙ্গে পচা গোবর বা আবর্জনা পচা সার ৫ কেজি, ১০০ গ্রাম টিএসপি ও ১২৫ গ্রাম এমওপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে ৮-১০ দিন পর গর্তের ঠিক মাঝখানে চুইঝালের চারা (কাটিং) রোপণ করে চারপাশের মাটি হাত দিয়ে হালকাভাবে চেপে বসিয়ে দিতে হবে।
তারপর গর্তে একটি খুঁটি কাত করে বাউনি হিসেবে ব্যবহৃত গাছের সঙ্গে বেঁধে দিলে ৩০-৪০ দিনের মধ্যে তা গাছের কাণ্ডের সাহাঘ্যে ওপরে উঠে যাবে। এভাবে চুইগাছ বেড়ে উঠবে। বাউনি না দিলেও চুই ঝোপ আকারে মাটিতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমে গাছের ক্ষতি হয়। চুইঝাল রোপণের এক বছরের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়।
বাংলাদেশের অন্যতম অর্গানিক গ্রোসারি শপ SUO XI Organic Food Ltd. (Online grocery shop BD) এ সকল প্রকার অর্গানিক পণ্য পাওয়া যায়।
চুইঝালের পুষ্টিগুণ
চুইঝাল অনেক ভেষজ গুণে পরিপূর্ণ। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ফাইটোকেমিক্যাল, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সরবরাহ করে, যা হজম প্রক্রিয়ার উন্নতিতে সাহায্য করে। চুইঝালে ০.৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল রয়েছে। এছাড়া অ্যালকালয়েড ও পিপালারটিন আছে ৫ শতাংশ।
তাছাড়া রয়েছে পরিমাণমতো গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, সিজামিন ও পিপলাস্টেরল। এর কাণ্ড, পাতা, শিকড়, ফুল, ফল সবই ঔষধি গুণসম্পন্ন। চুইয়ের শিকড়ে রয়েছে ০.১৩ থেকে ০.১৫ শতাংশ পিপারিন, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া পিপারিন চুই এর ঝাল স্বাদ এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে থাকে।
পুষ্টি উপাদান |
পরিমাণ (গ্রাম) |
দৈনিক চাহিদার শতাংশ (প্রায়) |
ক্যালোরি |
২০ (প্রায়) |
১% |
প্রোটিন |
১ গ্রামের বেশি |
২% |
চর্বি |
নগণ্য |
<১% |
ফাইবার |
১ গ্রামের বেশি |
৪-৫% |
ভিটামিন C |
৫০-১০০ মিলিগ্রাম |
৬৬%-১৩৩% |
ভিটামিন K |
৫০-১০০ মিক্রোগ্রাম |
৬০-১২০% |
ক্যালসিয়াম |
৮০ মিলিগ্রাম (প্রায়) |
৮% |
আয়রন | ১.৫-২ মিলিগ্রাম (প্রায়) |
৮-১১% |
পটাশিয়াম | ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি |
৬% |
বাংলাদেশের অন্যতম অর্গানিক ফুড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান SUO XI Organic Food Ltd. – Organic Food Manufacturer BD বিভিন্ন রকম স্বাস্থকর ও পুষ্টিগুণ যুক্ত অর্গানিক পণ্য বাজারজাত করে আসছে। সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে কোন প্রকার রাসায়নিক মুক্ত পদ্ধতিতে নিজেরাই এসকল পণ্য উৎপাদন করে থাকে।
চুইঝাল খাওয়ার উপকারিতা
চুইঝালের অনেকগুলো ভেষজ উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় উপকারী হতে পারে। আসুন জেনে নিই চুইঝাল খাওয়ার কিছু প্রধান উপকারিতা:
১. হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি
চুইঝাল হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অন্ত্রের কার্যক্রমকে নিয়মিত সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি হজমে সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের উৎস
চুইঝাল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে সুরক্ষা দেয়, যা শরীরের কোষের ক্ষতি করে এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত চুইঝাল খাওয়া শরীরের বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও তরুণ রাখে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
চুইঝালের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এটি শরীরের সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু এবং ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। চুইঝাল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ফলে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪. বাত ও আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায়
চুইঝাল প্রাচীনকাল থেকেই ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান বাত এবং আর্থ্রাইটিসের মত ব্যথা এবং প্রদাহজনিত সমস্যার উপশমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত চুইঝাল খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক ব্যথা ও অস্বস্তি অনেকাংশে কমে যায়।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
চুইঝালে পিপারিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা চুইঝালকে তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৬. ত্বক ও চুলের যত্নে
চুইঝাল ত্বক এবং চুলের জন্যও বেশ উপকারী। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি চুলের গোঁড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে
পিপারিনের উপস্থিতির কারণে চুইঝাল শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। পিপারিন কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৮. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা
চুইঝালে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো রক্ত সঞ্চালন ভালো করতে সাহায্য করে। এটি হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে, কারণ ভালো রক্ত সঞ্চালন হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৯. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
কিছু গবেষণা অনুযায়ী, চুইঝাল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের অন্যতম কারণ, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হয়।
১০. হজমশক্তি উন্নত করে
চুইঝাল হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক। হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকলে অপুস্টি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
চুইঝাল ব্যবহারের নিয়ম
চুইঝালের সঠিক ব্যবহার জানলে এটি থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া সম্ভব। নিচে চুইঝালের কিছু প্রয়োগ পদ্ধতি এবং ব্যবহারবিধি তুলে ধরা হলো:
১. মাংস রান্নায়
চুইঝালের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় ব্যবহার হলো মাংস রান্নায়। বিশেষ করে গরু, খাসি এবং মুরগির মাংসে চুইঝালের একটি বিশেষ স্বাদ এনে দেয়। মাংস রান্নার আগে চুইঝালকে কেটে ছোট ছোট টুকরো করে মসলার সাথে মিশিয়ে রান্না করলে এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বাড়ে।
২. স্যুপে যোগ করা
শীতকালে গরম চুইঝালের স্যুপ ঠাণ্ডা প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী। স্যুপ রান্নার সময় চুইঝালের টুকরো দিয়ে এটি আরও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর করা যায়।
৩. মশলার সাথে ব্যবহার
চুইঝাল সাধারণত শুকনো অবস্থায় বাজারে পাওয়া যায়। এটি মশলার সাথে মিশিয়ে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয়। তরকারি, ভুনা এবং স্টিউ জাতীয় খাবারে চুইঝালের ঝাঁঝালো স্বাদ যোগ করা যায়।
৪. তেলের সাথে মিশিয়ে
চুইঝাল তেলের সাথে মিশিয়ে তেলকে সুগন্ধি এবং স্বাস্থ্যকর করা যায়। বিশেষ করে মাংস ও মাছ ভাজার সময় এই তেল ব্যবহার করলে স্বাদ বেড়ে যায়।
৫. ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার
চুইঝাল বিভিন্ন ভেষজ ওষুধে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকালে এটি পেটের রোগ, সর্দি-কাশি, এবং গলাব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো। নিয়মিত চুইঝাল খাওয়া ফ্লু এবং ঠাণ্ডা প্রতিরোধে সহায়ক।
চুইঝাল ব্যবহারে সতর্কতা
যদিও চুইঝাল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে এর সঠিক ব্যবহার না জানলে কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি:
১. পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ
চুইঝাল খুব বেশি পরিমাণে খেলে পেটে অস্বস্তি, ডায়রিয়া বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত এবং পরিমিত পরিমাণে চুইঝাল খাওয়া উচিত।
২. উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা
যদিও চুইঝাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা অতিরিক্ত চুইঝাল খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চুইঝাল খাবেন।
৩. অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া ভালো নয়। তাই চুইঝাল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চুইঝাল সংরক্ষণের নিয়ম
চুইঝালকে দীর্ঘ সময় ধরে সতেজ রাখতে এবং এর পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুইঝাল সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম মেনে চললে এটি কয়েক মাস পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য থাকে। আসুন জেনে নেই কীভাবে চুইঝাল সংরক্ষণ করা যায়:
১. শুকিয়ে সংরক্ষণ: চুইঝালের শিকড় এবং কান্ড শুকিয়ে সংরক্ষণ করা একটি সাধারণ পদ্ধতি। এভাবে চুইঝাল দীর্ঘ সময় ধরে ভাল থাকে।
২. ফ্রিজে সংরক্ষণ: তাজা চুইঝাল সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ একটি ভালো বিকল্প। এতে চুইঝাল কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকে।
৩. পাউডার তৈরি করে সংরক্ষণ: চুইঝাল শুকিয়ে পাউডার করে সংরক্ষণ করলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। পাউডার করা চুইঝাল মশলা হিসেবে সহজেই বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা যায়।
৪. তেলের মধ্যে সংরক্ষণ: চুইঝাল তেলের মধ্যে সংরক্ষণ করলে এটি একটি ভিন্ন স্বাদ ও গন্ধ দেয়। মাংস বা মাছ রান্নায় এই তেল ব্যবহার করা যায়।
৫. ফ্রিজারের আইস কিউব ট্রেতে সংরক্ষণ:
চুইঝালকে আইস কিউব ট্রেতে সংরক্ষণ একটি সৃজনশীল উপায়।
- তাজা চুইঝাল কুচি করে আইস কিউব ট্রেতে রাখুন।
- এর উপর সামান্য পানি দিয়ে ট্রেটি ফ্রিজারে রাখুন।
- যখন প্রয়োজন হবে, একটি করে কিউব ব্যবহার করতে পারবেন।
চুইঝাল সংরক্ষণের কিছু টিপস
- সংরক্ষণ করার আগে নিশ্চিত করুন যে চুইঝাল সম্পূর্ণ শুকনো।
- চুইঝালের টুকরোগুলো সংরক্ষণ করার আগে ফাংগাস বা পচা অংশ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- চুইঝাল সংরক্ষণের জন্য শুকনো এবং বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করুন।
- সরাসরি সূর্যালোক এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে।
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে চুইঝাল দীর্ঘ সময় ধরে এর স্বাদ, গন্ধ এবং পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে পারে।
উপসংহার
চুইঝাল শুধুমাত্র একটি মসলা নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত এবং সঠিক পদ্ধতিতে চুইঝাল খাওয়া আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে, এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে। তবে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও সতর্কতা মেনে চলা জরুরি, যাতে এর সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের অর্গানিক ফুড উৎপাদনকারী অনলাইন গ্রোসারী শপ SUO XI Organic Food – Best online healthy foods store BD এ বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ যুক্ত অর্গানিক পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।