Need help? Call Us: +88096 13 100 600
ডিম হলো একটি পুষ্টিকর খাবার, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেলের একটি সমৃদ্ধ উৎস। ডিমের মধ্যে সাধারণত মুরগির ডিমই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে, আর কুসুমে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং কে, সাথে রয়েছে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন মানবদেহের পেশি গঠনে সহায়ক এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকেই ডিমের কোলেস্টেরল নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদিও কোলেস্টেরল বেশি থাকায় কিছু মানুষ ডিম খেতে সতর্ক হন, তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে নিয়মিত ডিম খেলে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। তবে সব ডিমের পুষ্টিগুণ সমান থাকে না।
বাজারের কেনা ডিম এবং অর্গানিক খামারের চাষকৃত ডিমের মধ্যে পার্থক্য আছে। সার্বিকভাবে, ডিম হলো একটি সহজলভ্য, পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য, যা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এই নিবন্ধে আমরা ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিমের উপকারিতা ও গুণাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানব এবং বাজারের কেনা ডিম এবং অর্গানিক ডিমের মধ্যে পার্থক্যগুলো বিস্তারিত আকারে জানার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশের অন্যতম অর্গানিক ফুড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শশী অর্গানিক লি. বিভিন্ন রকম ন্যাচারাল ফুড উৎপাদন করে আসছেন যেমনঃ ওমেগা-3 ডিম, লীক সবজি, খাটি সরিষার তেল, ঢেঁকি ছাটা লাল চাল ইত্যাদি। তাদের Online Grocery Store থেকে যেকোন সময় অর্ডার করার সুযোগ রয়েছে।
ওমেগা-৩ কী?
ওমেগা-৩ হলো এক ধরনের অসম্পৃক্ত চর্বি, একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আমাদের শরীরের সঠিক কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ মাত্রই জানেন, সম্পৃক্ত চর্বি হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার একটা বয়সের পর সে কারণে খেতে মানা। কিন্তু অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেতে বাঁধা নেই, বরং এটি রক্তে উপকারী চর্বির পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহের নানা উপকার করে।
এটি মূলত তিনটি প্রকারে পাওয়া যায়: ALA (আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড), EPA (ইকোসাপেন্টানয়িক অ্যাসিড), এবং DHA (ডোকোসাহেক্সানয়িক অ্যাসিড)। ALA সাধারণত উদ্ভিদ থেকে আসে, যেমন সয়াবিন, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, টুফু, আখরোট, এবং চিয়া বীজ থেকে। EPA এবং DHA প্রধানত মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্য থেকে পাওয়া যায়, বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল, এবং সার্ডিন।
‘ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩’ মুরগির ডিম এর উপকারিতা
আমাদের ফার্মের মুরগিকে খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত অবস্থায় পালন করা হয় এবং এই মুরগিকে কেমিকেল ও হেভিমেটাল বা ভারী ধাতুমুক্ত প্রাকৃতিক খাবার দেওয়া হয়। এসকল মুরগিকে কোন প্রকার এনিমেল বাই প্রোডাক্ট, GMO (Genetically Modified Organism) শস্য, এন্টিবায়োটিক ও গ্রোথ হরমোন দেয়া হয় না । এই পদ্ধতি অর্গানিক উপায়ে মুরগি পালন নামে পরিচিত।
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩’ মুরগির ডিম এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর কিছু প্রধান উপকারিতা হলো:
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: ওমেগা-৩ রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদপিণ্ডের ধমনীগুলির স্বাস্থ্য বজায় রাখে। অন্যদিকে ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন মজবুত করে। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নয়ন: ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩, বিশেষ করে DHA, মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যক্রমে সহায়তা করে। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং আলঝাইমার ও ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি কমায়।
- প্রদাহ কমানো: ওমেগা-৩ তে প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ রয়েছে, যা বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি এবং ক্রনিক প্রদাহজনিত অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকে শরীরকে রক্ষা করে
- চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা: DHA চোখের রেটিনার একটি প্রধান উপাদান। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ গ্রহণ করলে বয়সজনিত চোখের সমস্যা, যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া চোখের সমস্যা প্রতিরোধে ভিটামিন ডি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: ওমেগা-৩ এর পর্যাপ্ত গ্রহণ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ডিপ্রেশন,এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: ওমেগা-৩ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে সহায়ক। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি রোদের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয় এবং এগুলো কিছু খাবারে পাওয়া যায়, যেমন সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দুধ।
অগার্নিক উপায়ে পালনকৃত মুরগির খাবার এর বৈশিষ্ট্য
১. অগার্নিক মুরগির খাবার অবশ্যই প্রাকৃতিক হতে হবে।
২. অগার্নিক মুরগির খাবার কৃত্রিম সার ও কীটনাশক মুক্ত হতে হবে।
৩. GMO (Genetically Modified Organism) শস্য হতে পারবে না।
৪. কোন ধরনের এনিমেল বাই প্রোডাক্ট দেয়া যাবে না।
৫. এন্টিবায়োটিক ঔষধ, গ্রোথ হরমোন, রেডিফিন ব্যবহার করা যাবে না।
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩’ সমৃদ্ধ ডিম এর গুণাগুণ
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হৃদপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে, প্রদাহ কমায়, এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্যবহারকে উন্নত করে, যা হাড় এবং দাঁতের শক্তি বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ভিটামিন ডি মাসপেশীর শক্তি এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে উদ্বিগ্নতা এবং বিষণ্ণতা সমস্যা কমাতে পারে।
ভিটামিন ডি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণের জন্য, ওমেগা-৩ প্রদাহজনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া, ওমেগা-৩ এর DHA অংশটি মস্তিষ্ক এবং চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীর নিজে থেকে ওমেগা-৩ তৈরি করতে পারে না, তাই খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট থেকে এটি গ্রহণ করতে হয়। নিয়মিত ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম গ্রহণ করলে শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা সহজ হয় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদী উপকারিতা প্রদান করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে আমাদের খাদ্যে প্রধান উপাদান তিনটি। কার্বোহাইড্রেট (শর্করা), প্রোটিন (আমিষ) ও চর্বি (Fat)।
এর মধ্যে চর্বির প্রধান কাজ হল দেহে শক্তি যোগানো। চর্বি থেকে সমপরিমাণ কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিনের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি শক্তি মেলে। শরীরের চর্বি আবার তিন ধরনের- ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল আর ফসফোলিপিড। এদের মধ্যে আবার ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ট্রাই গ্লিসারাইড তিনটি ফ্যাটি এসিডের সঙ্গে গ্লাইসেরল এর সংমিশনের ফলে তৈরি হয় । এ সমস্ত উপাদান আমরা ডিমের মধ্যে পেয়ে থাকি।
বাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন ভিত্তিক অর্গানিক ফুড বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান SUO XI Organic LTD. তাদের Online Grocery Shop এ সকল প্রকার ন্যাচারাল ও খাঁটি পণ্য বিক্রয় করে থাকে।
ওমেগা-৩ কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমায়
বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে কমে গেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত মাছ, বিশেষ করে তেলযুক্ত মাছ (যেমন স্যামন, ম্যাকারেল), ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড, এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারে পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারে সহায়ক হতে পারে। যে সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে ওমেগা-৩ গুরুত্বপূর্ণ পালন করে তার তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- হৃদরোগ প্রতিরোধ
- হৃৎপিন্ডকে সবল রাখা
- রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখা
- কোলেস্টেরল কমিয়ে স্ট্রোক প্রতিরোধ
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
- মানসিক রোগ যেমন- ডিপ্রেশন, ডিমেনশিয়া, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভি ডিজঅর্ডার
- শিশুদের সুস্থ সবলভাবে বেড়ে ওঠার জন্য যথেস্ট পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রয়োজন
- ক্যানসার প্রতিরোধ
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিম চেনার উপায়
সাধারণ ডিম থেকে ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম গাঢ় কমলা রঙের হয় কারণ অগার্নিক উপায়ে পালনকৃত মুরগি সূর্যের আলোতে ঘাস ও লতা-পাতা খেয়ে বড় হয় ফলে ক্যারোটিনয়েডস বেশি পায়।
আমাদের ফার্মের অগার্নিক উপায়ে পালনকৃত মুরগিকে যে ধরনের খাবার দেয়া হয়:
১. সামুদ্রিক মাছ
২. ঝিনুকের গুড়া
৩. সজনে পাতার গুড়া
৪. অগার্নিকভাবে উৎপাদিত ঘাস
৫. ঢেঁকি ছাঁটা চাল
৬. প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত খাবার (ঘাস, লতা-পাতা, পোকা-মাকড়, কচিপাতা, ইত্যাদি)
কিভাবে ওমেগা-৩ ডিম উৎপাদন করা হয়
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হলো মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান, যা সাধারণত মাছ, সামুদ্রিক খাবার যেমন শামুক, ঝিনুক ইত্যাদির মধ্যে পাওয়া যায়। তবে আধুনিক খাদ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এখন ডিমেও ওমেগা-৩ এর উপাদান সংযোজন করা সম্ভব হচ্ছে। এ প্রক্রিয়াটি সাধারণত মুরগির খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করে সম্পন্ন করা হয়।
ফার্মের মুরগিকে খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত অবস্থায় পালন করা হয় এবং এই মুরগিকে কেমিকেল ও হেভিমেটাল বা ভারী ধাতুমুক্ত প্রাকৃতিক খাবার দেওয়া হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত একটি নির্দিষ্ট সময়ে মুরগিকে রোদে রাখতে হবে। রোদ থেকে ভিটামিন ডি মুরগির শরীরে প্রবেশ করলে এর ডিমেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। এসকল মুরগিকে কোন প্রকার এনিমেল বাই প্রোডাক্ট, GMO (Genetically Modified Organism) শস্য, এন্টিবায়োটিক ও গ্রোথ হরমোন দেয়া হয় না । এই পদ্ধতি অর্গানিক উপায়ে মুরগি পালন নামে পরিচিত।
অগার্নিক উপায়ে পালনকৃত মুরগির খাবার এর বৈশিষ্ট্য:
১. অগার্নিক মুরগির খাবার অবশ্যই প্রাকৃতিক হতে হবে।
২. অগার্নিক মুরগির খাবার কৃত্রিম সার ও কীটনাশক মুক্ত হতে হবে।
৩. GMO (Genetically Modified Organism) শস্য হতে পারবে না।
৪. কোন ধরনের এনিমেল বাই প্রোডাক্ট দেয়া যাবে না।
৫. এন্টিবায়োটিক ঔষধ, গ্রোথ হরমোন, রেডিফিন ব্যবহার করা যাবে না।
অবশেষে, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম উৎপাদন একটি নতুন প্রযুক্তি যা স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধবও, কারণ মুরগির খাদ্যতালিকায় পরিবেশসম্মত উপাদান ব্যবহার করা হয় যা মুরগির স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সুতরাং, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম উৎপাদন খাদ্যশিল্পে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রচলনকে আরও বিস্তৃত করেছে।
প্রাকৃতিক উপায়ে পালনকৃত মুরগির ডিম কেন বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়?
প্রাকৃতিক উপায়ে পালনকৃত মুরগি খাঁচা ছাড়া খোলামেলা পরিবেশে সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে পালন করা হয়। মুরগি গুলো ঘুরে বেড়ানোর জন্য পযার্প্ত পরিমাণ খোলা জায়গা থাকে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মাটির সাথে যোগাযোগ থাকে। এদের বৃদ্ধির জন্য কোন গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করা হয় না।
এসব মুরগি প্রাকৃতিক খাবার, ঘাস ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পেয়ে থাকে যার কারণে ডিমে ক্যারোটিনয়েডস, ভিটামিন ও মিনারেলস এর পরিমাণ বেশি থাকে।এতে কোন প্রকার খারাপ কোলেস্টেরল থাকে না। কুসুমে ভিটামিন ডি ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণও বেশি থাকে।
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিম চেনার উপায়
সাধারণ ডিম থেকে ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম গাঢ় কমলা রঙের হয় কারণ অগার্নিক উপায়ে পালনকৃত মুরগি সূর্যের আলোতে ঘাস ও লতা-পাতা খেয়ে বড় হয় ফলে ক্যারোটিনয়েডস বেশি পায়।
আমাদের ফার্মের অগার্নিক উপায়ে পালনকৃত মুরগিকে যে ধরনের খাবার দেয়া হয়
১. সামুদ্রিক মাছ
২. ঝিনুকের গুড়া
৩. সজনে পাতার গুড়া
৪. অগার্নিকভাবে উৎপাদিত ঘাস
৫. ঢেঁকি ছাঁটা চাল
৬. প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত খাবার (ঘাস, লতা-পাতা, পোকা-মাকড়, কচিপাতা, ইত্যাদি)
সাধারণ ডিমের সাথে ওমেগা-৩ ডিমের পার্থক্য কি
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিমের পুষ্টি উপাদান ও সাধারণ ডিমের পুষ্টি উপাদানের পার্থক্য:
পুষ্টি উপাদান | সাধারণ ডিম | ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিম |
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড | 0.8305% | 5.4896% |
ভিটামিন ‘ডি’ (৩) | 1100 mg/kg | 1900 mg/kg |
ভিটামিন ‘এ’ | 252 mg/100 gm | 281 mg/100 g |
ভিটামিন ‘বি ১২’ | 0.136 mg/100 gm | 0.279 mg/100 g |
ক্যালসিয়াম | 48.25 mg/100 gm | 50.30 mg/100 g |
সেলেনিয়াম | 46.90 mg/100 g | 50 mg/100 g |
জিংক | 1.18 mg/100 gm | 1.26 mg/100 g |
[সূত্রঃ BCSIR ল্যাবে পরীক্ষিত]
আসল ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম কোথায় পাওয়া যায়
সামুদ্রিক মাছের তেল ওমেগা-৩ এর উৎকৃষ্ট উৎস। এছাড়া, উদ্ভিজ্জ তেল যেমন- তিসির তেল, ক্যানোলা অয়েল, ও মরিঙ্গা ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। গবেষণায় পাওয়া গেছে, দেশীয় মাছের মধ্যে রুই মাছ, পাংগাস, মাগুর ইত্যাদি মাছের তেলে পাওয়া যাবে ওমেগা-৩; যাতে ওমেগা-৩ ও ৬ এর ভারসাম্য সঠিক মাত্রায় বিদ্যমান। এদিকে সয়াবিন তেলে ওমেগা-৬ এর পরিমাণ বেশি থাকায় এর নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করতে হবে। ১ চামচ মাছের ডিমে প্রায় ৩৪২ মিলিগ্রাম পরিমাণ ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের বাদামে আছে ওমেগা-৩। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে ওয়ালনাট বা আখরোট, পেস্তা ইত্যাদি বাদামে। শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি ইত্যাদিতে যথেষ্ট পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এদিকে একদিনে মাত্রাতিরিক্ত ওমেগা-৩ (৩ গ্রাম এর অধিক) স্ট্রোকের মতো ভয়ংকর রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই ওমেগা-৩ ও ৬ এর ভারসাম্য জেনে বুঝে খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ।
দেশের বাজারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন -ডি সমৃদ্ধ ডিম বাজারজাত করছে শশী অর্গানিক ফুড লিমিটেড। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম এখন শশী অর্গানিক লি. এর Online grocery Shop ও নিজস্ব আউটলেটে পাওয়া যায়।
শশী অর্গানিক ডিম এর বৈশিষ্ট কি
শশী অর্গানিক ফুড এমন নাম যা প্রকৃতির স্বাদ ও স্বাস্থ্যের নিখুঁত মেলবন্ধনের প্রতীক। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে তারা মানুষের সুস্থ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শশী অর্গানিক ফুডের সকল খাদ্য জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়। শশী অর্গানিক ফুড উচ্চমানের বীজ, মাটি এবং জৈব সার ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করে থাকে।
ফলে, এসব খাদ্য রাসায়নিক পদার্থমুক্ত এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। শশী ডিম এমন একটি পণ্য যা বিভিন্ন কারণে জনপ্রিয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
প্রাকৃতিক খাদ্য ও পরিবেশ: শশী অর্গানিক ডিম উৎপাদনের জন্য মুরগিগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়ানো হয়। তাদের খাওয়ার মধ্যে কোনো প্রকার রাসায়নিক বা কৃত্রিম খাদ্য যোগ করা হয় না।
নিরাপদ ও পুষ্টিকর: এই ডিমগুলোতে সাধারণত হেভি মেটাল মুক্ত এবং বেশি পুষ্টি থাকে। অর্গানিক প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হওয়ায় এগুলোতে পেস্টিসাইড, এন্টিবায়োটিক, বা অন্য কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে না।
মুরগির সুষ্ঠু পরিবেশ: শশী অর্গানিক ডিম উৎপাদনের জন্য মুরগিগুলোকে ফ্রি-রেঞ্জ বা মুক্ত পরিবেশে রাখা হয়, যা তাদের সুস্থ ও সুখী রাখতে সহায়ক।
উৎপাদন প্রক্রিয়া: প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত হওয়ায় এই ডিমগুলো উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়াই পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই।
এইসব বৈশিষ্ট্যের কারণে শশী অর্গানিক ডিম সাধারণ ডিমের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ বলে ধরা হয়।
শেষকথা
ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিমের উপকারিতা এবং গুণাগুন বিস্ময়কর। এই বিশেষ ধরনের ডিম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। একইভাবে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এই ডিমের নিয়মিত ব্যবহার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩য়ের এই সমন্বয় ডিমের পুষ্টিগুণকে বৃদ্ধি করে, যা সাধারণ ডিমের তুলনায় অধিক পুষ্টিকর। তাই, সুস্থ ও ভালো স্বাস্থ্যের জন্য এই ধরনের ডিম খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
বাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন ভিত্তিক অর্গানিক ফুড বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান SUO XI Organic LTD. তাদের Online Grocery Shop এ সকল প্রকার ন্যাচারাল ও খাঁটি পণ্য বিক্রয় করে থাকে। একদম নিজস্ব খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে কোন প্রকার রাসায়নিক ও ঔষধ ছাড়া মুরগি থেকে ডিম উৎপাদন করে।